Advocate Azmat Ullah Khan

Advocate Azmat Ullah Khan
President of Gazipur City Awami League

The Legend Of Elegant Politics Our Fearless Great Leadership Adv.Md.Azmat Ulla Khan’s Biography. ••••••••••• প্রখ্যাত গ্রন্থকার Mostaque Ahmad কর্তৃক রচয়িত। •••••••••••• প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক এড. মো: আজমত উল্লা খান এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। •••••••••••••••• এক নজরে পরিচিতি ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন এডভোকেট মো: আজমত উল্লা খান। বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, জননন্দিত ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবক, একাধারে পরপর তিনবার নির্বাচিত টঙ্গী পৌরসভার সাবেক সফল মেয়র, সুদীর্ঘ ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির অন্যতম সংগঠক ও জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত রাজনীতিক সহকর্মী, একনিষ্ঠ সহচর। বর্তমান গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা এড. আজমত উল্লা খান, যিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ও নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গাজীপুরবাসীর অত্যন্ত জনপ্রিয় এই নেতা সদা-হাস্যোজ্জ্বল, সদালাপী, সরল, সুবক্তা ও সজ্জনপ্রিয় হিসেবে সর্বমহলে সুপরিচিত। তিনি ১৯৫৫ সালের ২১ জানুয়ারি গাজীপুর জেলা সদরের টঙ্গী ভরানে একটি সম্ভান্ত মুসলিম ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম ইউসুফ খান ছিলেন শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক, ধর্মভীরু ও আধুনিক চিন্তাশীল ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তাঁর মাতা মোসাম্মৎ ফাতেমা খানম ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান ও মহীয়সী রমনী। ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি নিজের মেধা-মনন-প্রজ্ঞা ও যোগ্যতা দিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আসীন হন এবং গাজীপুর তথা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। শিক্ষা ও কর্মজীবন এডভোকেট মো: আজমত উল্লা খান শিক্ষা জীবনের হাতেখড়ি পান পারিবারিক পরিমণ্ডলে। তিনি শিশু বয়সেই ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা লাভ করেন মাতার তত্ত্বাবধানে। কারণ তাঁর মাতা ছিলেন ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত এবং নিজ বাড়িতে মক্তব পরিচালনার মধ্য দিয়ে যিনি গ্রামের ছেলেমেয়েদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দিতেন। মায়ের কাছ থেকে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষালাভের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় শিক্ষা পেয়ে তিনি পরবর্তীতে আজমপুর সরকারি প্রাইমারী স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন নবাব হাবিবুল্লাহ মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে। সেখান থেকেই ১৯৭০ সালে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি এবং ১৯৭২ সালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবি (অনার্স) ভর্তি হন এবং প্রথম ব্যাচের ছাত্র হিসেবে ১৯৭৬ সালে স্নাতক সম্পন্ন করার পর ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল,এম ডিগ্রি লাভ করেন। উল্লেখ্য যে পিতার অবর্তমানে তাঁর মাতা ও বড় ভাই আব্দুর রহমানের তত্ত্বাবধানে তিনি শিক্ষাজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতার সাথে এগিয়ে যান এবং তাঁরা সযত্নে আগলে রেখে তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ এলএল,এম ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করান। অবশ্য তিনি কলেজ জীবনেই বিয়ে করেন এবং স্ত্রীর অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতাও তাঁকে শিক্ষাজীবন সফলতার সাথে সমাপ্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। লেখাপড়া সমাপ্ত করে তিনি আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবনে পা রাখেন এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রাজনীতি ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সক্রিয় রাখেন। মূলত ছাত্রজীবন থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন এবং পেশাগত জীবনে আইন পেশায় নিয়োজিত থাকার মাধ্যমে রাজনীতি ও সমাজসেবায় আত্মোনিয়োগ করেন। আইন পেশায় নিযুক্ত হওয়ার শুরু থেকেই তিনি সমাজের গরীব-দুঃখী মানুষের সেবা করার মধ্য দিয়ে নির্যাতীত ও মজলুম জনতার পাশে দাঁড়ান। এখান থেকেই তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও সমাজসেবার অগ্রযাত্রা শুরু হয়। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন এডভোকেট মো: আজমত উল্লা খান শিক্ষিত ও সচেতন পরিবারের সন্তান হিসেবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি অনুরাগী শিক্ষা পেয়েছিলেন পরিবার থেকেই। তাঁর পিতা মরহুম ইউসুফ খান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী বাঙালি জাতীয়তাবাদের একনিষ্ঠ সমর্থক। তাই পাকিস্তানি শাসকদের বাঙালিদের প্রতি অবিচার, নির্যাতন, নিপীড়ণ ও ভাষা সংস্কৃতির প্রতি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার শিক্ষা তিনি পরিবার থেকেই পেয়েছিলেন। যদিও কিশোর বয়সেই তিনি পিতৃহারা হন, তথাপি পিতার অবর্তমানে বড়ভাই ও মায়ের শিক্ষা ছিল পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়-অবিচার, জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতন ও প্রতিবাদী হওয়া। তাই তিনি পরিবার থেকে কিশোর বয়সেই ছাত্র রাজনীতির অনুপ্রেরণা লাভ করেন। সেই অনুপ্রেরণাই ছিল এডভোকেট মো: আজমত উল্লা খানের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অনুগামী হয়ে ছাত্রলীগে যোগদানের প্রেরণা। ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করলে বাঙালিদের প্রতি পশ্চিমাদের দমন পীড়ণের মাত্রা বেড়ে যায়। এমতাবস্থায় ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বায়ত্বশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছয় দফা দাবি পেশ করেন। মো: আজমত উল্লা খান ছিলেন নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল হাইস্কুলের ছাত্র। এখানে ছাত্রাবস্থায় তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ছয় দফা দাবী আদায়ের সংগ্রামে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হোন এবং স্কুল জীবনেই পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কর্মসূচিতে যোগদান করেন। ঠিক সেই মুহূর্তে দেশের প্রতিবাদী ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে ১১ দফা দাবি ঘোষিত হলে আজমত উল্লা খান নবাব হাবিবুল্লাহ মডেল হাইস্কুল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৯৬৭ সালে দাবি আদায়ের কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেন। ছাত্রজনতার ১১ দফা ও বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ছয় দফা দাবি বাঙালি জাতির মুক্তির অভিন্ন সনদে রূপ নিলে সর্বস্তরের মানুষ সারাদেশে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে। এতে শাসকগোষ্ঠী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার অজুহাতে ১৯৬৭ সালে বঙ্গবন্